সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে: জবি ভিসি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান  © ফাইল ফটো

সদ্য ঘোষিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়ন ফলের পর এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তোড়জোর শুরু হয়েছে। তবে ন্যূনতম স্কোর করা সত্ত্বেও সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। বিপাকে পড়েছেন বিভাগ পরিবর্তন ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না পেয়েই বাছাইপর্বে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ তারা। 

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভর্তিচ্ছুকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোয় কীভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যায়, সে চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা সীমিত। যেভাবে পরীক্ষা নেব আমরা, এতে হয়তো বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আগের ভর্তি পরীক্ষায় দেখেছি, সাধারণত জিপিএ-৫ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগও পায় না অনেক শিক্ষার্থী।’

এইচএসসি ও সমমানের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষার ভর্তি যুদ্ধে নামার আগেই বাদ পড়তে পারেন ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী। মানবিক ইউনিটে প্রাথমিকভাবে এইচএসসির মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা পাঁচ লাখের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। আর আলিম থেকে পাস করাদের মধ্য থেকে আবেদনের যোগ্য হবেন ৫০ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী মানবিক ইউনিটে ভর্তির আবেদন করতে পারলেও দুই লাখ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় বসার ‍সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফলে যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাড়াই অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া এবার ৯টি শিক্ষাবোর্ডের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৪৪ জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ ৩-এর নিচে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত হাজার ৫২৬ জন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যে সুযোগে কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সমস্যা হবে না। অপর দুই গুচ্ছ কৃষি ও প্রকৌশলের ৯টিতে ছাড়াও সব মিলিয়ে আরও ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা। তাছাড়া মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজেও ভর্তি হতে পারবেন তারা।

অন্যদিকে, এবার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ ৩-এর নিচে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৫০ জন। সে হিসেবে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ইউনিটে প্রাথমিকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন এবার এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পাস করা দুই লাখের মতো শিক্ষার্থী। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বাছাইয়ে খুব অল্প সংখ্যাক শিক্ষার্থী বাদ পড়বেন।


সর্বশেষ সংবাদ