চবিতে ভর্তির আবেদন বেড়েছে ৩০ হাজার, কোন ইউনিটে কতটি
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৫ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৫ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য সোয়া দুই লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন চলবে। সে হিসেবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এবার আবেদনের সময় বাড়ানো হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় ইতিমধ্যে ৩০ হাজার বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এ আবেদন প্রক্রিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দুই লাখ ২৯ হাজার ৯৫৩ জন আবেদন করেছেন।
অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের বিষয়গুলোয় ভর্তির জন্য সর্বোচ্চ ৯৫ হাজার ৭২৭ জন আবেদন করেছেন। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ৬১ হাজার ৫১২, ‘বি-১’ ইউনিটে এক হাজার ৪৮৮, ‘সি’ ইউনিটে ১৫ হাজার ৮৬৭, ‘ডি’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৬৭৫ এবং ‘ডি-১’ ইউনিটে এক হাজার ৬৮৪ জন আবেদন করেছেন।
গত বছর আবেদন করেছিলেন ২ লাখ ৫৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এবার ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার বেশি আবেদন পড়েছে। বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আবেদন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফি জমা দেওয়া যাবে আগামী ২০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩০০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিয়ে আবেদন সংশোধনের সুযোগ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এবার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের সিলেবাসে এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বর থাকবে। এছাড়াও এবার সব বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেবে।
চবির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ থেকে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে সুযোগ রাখা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে, ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে ২০ নম্বর যোগ হবে। দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের ৫ নম্বর কাটা যাবে। ফি বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: রাত পেরোলেই শুরু ভর্তিযুদ্ধ, আবেদন চলছে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রথমবারের মতো চবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে একাধিক বিভাগে। কেন্দ্র হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। তবে চাইলেই এ দুই কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি আগে আবেদন করবেন, তার পছন্দক্রম অনুসারে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।
২ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের, ৮ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের, ৯ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের এবং ১৬ মার্চ ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ মার্চ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১২, ১৩ ও ১৪ মার্চ এবং ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক ১০ ও ১১ মার্চ হবে।