বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪ AM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০১ AM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রেক্ষিতে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দুইটি শিফটে গ্রহণ করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীদের মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল এন্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ২০২০-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০২০ বা ২০২১ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, অথবা ২০২০ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, অথবা ২০১৯ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE "O" লেভেল এবং ২০২২ সালের নভেম্বর অথবা তার পরে GCE "A" লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র তাঁরাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ইতোপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন অথবা অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাঁরা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) ৫.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড / মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড / কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড / নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
যে সব প্রার্থী ২০২০ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড / মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড / কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক / আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে বাছাই করে ১ম থেকে ১৮০০০তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রে
আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক / সমমান পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় তিনটিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এবং উচ্চতর গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
GCE "O" লেভেল এবং GCE "A" লেভেল পাশ করা প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE "O" লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) এর প্রতিটিতে ন্যূনতম B গ্রেড এবং GCE "A" লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের যেকোনো দুইটিতে ন্যূনতম A গ্রেড এবং একটিতে ন্যূনতম B গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে GCE "O" লেভেল এবং GCE "A" লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে উপরে উল্লেখিত নির্ধারিত গ্রেডের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ৪০০তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর GCE "A" লেভেল পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভূক্ত সকল সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
উপরোল্লেখিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের দুইটি শিফটে বিভক্ত করে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হবে। পরিসংখ্যান ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্যতা নিশ্চিত করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০তম শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
আসন সংখ্যা
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা ১৩০৯টি।
আবেদন করার নিয়ম
আবেদন করার নিয়ম ভর্তির নির্দেশিকা (Guidelines for Admission to Undergraduate Program) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.buet.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে তা অনলাইনে Submit করতে হবে। Submit করা শেষে একটি Application Serial No, প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে এই নম্বরের বিপরীতে BUET এর website-এ বর্ণিত পদ্ধতিতে প্রাথমিক আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা বাবদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে। অতঃপর আবেদনটি চূড়ান্তভাবে দাখিল (Final Submit) করতে হবে।
বিস্তারিত দেখতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখুন এখানে।