প্রবেশপত্র ছাড়াই গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন নিহা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ০৭:৪৫ PM , আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ০৮:০৯ PM
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে বিপাকে পড়েন নিহা নামের এক শিক্ষার্থী। বান্ধবীর কাছে প্রবেশপত্র রেখেই কেন্দ্রে ঢুকে পরেন তিনি। তার বান্ধবীও সেই মুহূর্তে চলে যায় পরীক্ষার হলে। পরে প্রক্টরের সহযোগীতায় প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পায় সেই পরীক্ষার্থী।
রাজধানীর শনির আখড়া থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসেন নিহা। ভুলে বান্ধবীর কাছে প্রবেশপত্র রেখে আসার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে দায়িত্বরত প্রক্টরিয়াল টিমকে জানায় সে।
পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই ওয়েবসাইটের প্রবেশপত্র ডাউনলোডের উপায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার পক্ষে প্রবেশপত্র পুনরায় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষার রোল নম্বর ছাড়া আর কিছুই জানা ছিল না তার। ওয়েবসাইটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় পরীক্ষা শুরুর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি দপ্তর থেকে নিহার জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোডের ব্যবস্থা করা হয়।
আরো পড়ুন: ভর্তিচ্ছুদের জয় বাংলা বাইক সার্ভিসসহ ৫ সেবা দিল ইবি ছাত্রলীগ
প্রবেশপত্র না এনেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিহা। তিনি বলেন, আমি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছি পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিটি পরে। আমার রোল মনে ছিল না তবে মোবাইলে রোল নাম্বারের ম্যাসেজটা ছিল সেটা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে প্রবেশপত্রের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। দেরিতে হলেও পরীক্ষা দিতে পেরে আমি খুশি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঐ শিক্ষার্থীকে আইটি দপ্তর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রবেশপত্র বের করে দেয়া হয়েছে। তার পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়নি। যদি কেউ আগে থেকে এধরনের সমস্যা কথা জানায় তা সমাধান সম্ভব।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সি ইউনিটের আজকের পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৫.৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। সি ইউনিটে ১৫৯২১ জন পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল, এতে ৬৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এবার কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। যারা দেরিতে পরীক্ষার কেন্দ্রে এসেছেন সবাইকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী নামে ভুল লিখেছিল তা সমাধান করে দেয়া হয়েছে। আর একজন ছাত্রী প্রবেশপত্র আনেনি তারও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।