বিশেষ ব্যবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে চান জুলাই আন্দোলনে আহত সামিউল
- বাগেরহাট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ০৩:০১ PM , আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ০১:০১ PM
জুলাই আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হন সামিউল ইসলাম। এতে পিঠ ও মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। একইসঙ্গে তার হাতের পেশি কেটে যায়। এখন তিনি স্বাভাবিকভাবে বসতে বা চলাফেরা করতেও অক্ষম। এতে আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় তার পক্ষে অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে সরকারের কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চান তিনি ও তার পরিবার।
সামিউলের বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সামিউল এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও ব্যথা কমেনি। সে পড়তে বা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।
মা রুবিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় ওর যে অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। পুলিশ সামিউলকে হাসপাতাল নিলেও পরে আমাদের দিয়ে দেয়। তারপর ভয়ে আর কোথাও নিতে পারিনি। আজ সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়তো জীবনে একটা সুযোগ আসতো।
সামিউলের প্রতিবেশী শামসুদ্দোহা বলেন,সামিউল আহত হবার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারিভাবে অসুস্থদের যেভাবে সহায়তা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেই সুযোগটা তার জন্যও দাবি করছি। আহত ক্যাটাগরির পর্যায় বাড়ানো হলে আরও উপকার হতো।”
তার বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেন, “আমার একমাত্র ছেলে সামিউল এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও ব্যথা কমেনি। সে পড়তে বা বেশিক্ষণ বসতে পারে না। সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।
সামিউলের মা রুবিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ছাত্রলীগের হামলায় ওর যে অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। পুলিশ সামিউলকে হাসপাতাল নিলেও পরে আমাদের দিয়ে দেয়। তারপর ভয়ে আর কোথাও নিতে পারিনি। আজ সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়তো জীবনে একটা সুযোগ আসতো।”
নিজে কথা বলতে গিয়ে সামিউল বলেন, “আমি এখনও ঠিকভাবে চলতে পারি না, খেতেও কষ্ট হয়। লেখালেখি করতে পারি না। আমার স্বপ্ন ছিল ভালো রেজাল্ট করার, কিন্তু এখন চিকিৎসা না হওয়ায় সব অনিশ্চিত। আমি চাই, যাতে আমাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম শেখ বলেন, আমরা সামিউলের চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। চাই সরকার তার পাশে দাঁড়াক। একজন আন্দোলনকারী হিসেবে তার এ অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে।
রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, সামিউল একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তাকে যদি বিশেষ সুবিধা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাহলে সে ভালো ফলাফল করতে পারবে।