কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের ‘আলী’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ PM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ PM
কান চলচ্চিত্র উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বীকৃতি পেল আদনান আল রাজীবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ প্রহরে বিচারকদের ‘স্পেশাল মেনশন’ সম্মান পেল সিনেমাটি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কোনো সিনেমা প্রথমবারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বীকৃতি পেল।
শনিবার (২৫ মে) কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল ভেন্যু পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সমাপনী আয়োজনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরার পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতেছে ইসরায়েলের তৌফিক বারহোম পরিচালিত ‘আই অ্যাম গ্ল্যাড ইউ আর ডেড নাউ’।
এই বিভাগের প্রধান বিচারক জার্মান নির্মাতা মারেন আদে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘আলী’কে স্পেশাল মেনশন দেওয়ার কথা জানান। অতিথি সারিতে বসা নির্মাতা আদনান আল রাজীব উঠে দাঁড়ালে সবাই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
পরে আদনান আল রাজীব ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্টে লেখেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য।’

এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে এক পোস্টে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘কান উৎসবে বিশেষ জুরি মেনশন জেতার জন্য আদনান আল রাজীব এবং দল আলীকে অভিনন্দন! তোমাদের সবার জন্য খুব গর্বিত। শেষ মুহূর্তে কান ভ্রমণ বাতিল করার জন্য আমি সত্যিই রাগান্বিত।’
কান উৎসবে এবার ৪ হাজার ৭৮১টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয় ১১টি ছবি। বাংলাদেশের ‘আলী’ সেগুলোর মধ্যে একটি।
আদনান আল রাজীব পরিচালিত ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘আলী’ ছবির গল্প এক কিশোরকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের উপকূলীয় একটি শহরে বসবাস করে সে। যেখানে নারীদের গান গাওয়ার অনুমতি নেই। আলী শহরে পাড়ি জমানোর সুযোগ পেতে গানের একটি প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়। চমকপ্রদ হলো আলী নারী কণ্ঠেও গান গাইতে পারে! ‘আলী’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমিন। গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে ‘আলী’র দৃশ্যধারণ হয়।
নির্মাতা আদনান আল রাজীব প্রায় দুই দশক ধরে বিজ্ঞাপন ও নাটক নির্মাণ করেছেন। আলী নির্মাণ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘ব্যক্তি জীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ-সরল-সুন্দর ঢঙেই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।’
স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের তানভীর হোসেন ও ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন। সিনেমাটির লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ‘রানআউট ফিল্মস’।