চুয়েট থেকে দীপ্তর ইন্টেলে যাওয়ার গল্প

  © ফাইল ফটো

অনেকের স্বপ্ন থাকে ইন্টেলের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। দারুণ সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় বেতন, সন্তোষজনক কর্মপরিবেশ সবার মনেই আগ্রহ জাগায়। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম বিশ্বের শীর্ষ প্রসেসর তৈরি করা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল। সেই ইন্টেলেরই ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র (চুয়েট) শিক্ষার্থী দীপ্ত সরকার।

সম্প্রতি টেক জায়ান্ট ইন্টেলে প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিয়েছেন দীপ্ত। শিক্ষাজীবনে তিনি চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ‘০৯’ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। বর্তমানে আমেরিকার কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছেন দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসা এই তরুণ।

অন্য দশজন সাধারণ শিশুদের মতোই শৈশব কেটেছে দীপ্তর। তবে কলেজে পড়ার সময় সবকিছু পাল্টে যায় তার। কলেজে পড়া অবস্থাতেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন দীপ্ত। এইচএসসি পাসের পর দেশের অন্যতম সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগও পেয়ে যান। ইন্টেলে যোগদানের পেছনে পরিবারের পাশাপাশি তার পিএইচডি এডভাইজর অনুপ্রেরণা দেখিয়েছেন ও সাহায্য করেছেন বলে তিনি জানান।

নিজের সফলতার গল্প বলতে গিয়ে দীপ্ত জানান, ইন্টেলের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এখানে যোগদানের ক্ষেত্রে আমার পিএইচডি গবেষণাপত্র অনেক বেশী সাহায্য করেছে। এছাড়া চুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার পরিবেশ আমাকে এই অবস্থানে যেতে সাহায্য করেছে। উচ্চশিক্ষার জন্য চুয়েটে অর্জিত শিক্ষা, দক্ষতা কাজে লেগেছে।

ইন্টেলে যোগদানে কয়েকটি ধাপ পার করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইন্টেলের কোনো একটি পজিশনে আবেদন করার পড় ৩০-৬০মিনিটের একটি ফোন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। সেখানে ভালো করতে পারলে পরবর্তী ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় যেখানে দিনব্যাপী বিভিন্ন লেভেলের ম্যানেজারদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দীর্ঘক্ষণ প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। যদি সবকিছু তাদের পছন্দমতো হয় তাহলে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে জবের কল পাওয়া যায়।

নিজের পিএচডি গবেষণা নিয়ে তিনি বলেন, আমি হিট ট্রান্সফার ও ম্যাটেরিয়াল গবেষণায় আগ্রহী ছিলাম এবং সেটিতে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে ছিলো। পিএইচডি শুরুর পর আমি মাইক্রো/ন্যানো স্কেল ম্যাটেরিয়ালের উপর গবেষণা শুরু করি যেটা আমাকে মাইক্রো ফ্যাব্রিকেশন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছিলো এবং সেটিই মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক ইন্ডাস্ট্রির বেসিস ছিলো। এসবই ইন্টেলে যোগদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সহযোগিতা করেছিলো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence