স্বল্প পুঁজিতে ফেসবুক ব্যবসা শিখতে তরুণদের ভিড়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৭ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২০ PM
দেশের অনলাইন ব্যবসার নতুন একটি ধারণা হলো এফ-কমার্স বা ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা। খুব অল্প পুঁজিতে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেয়ায় তারুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এফ-কমার্স। জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই কমার্স সম্পর্কে ধারণা দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বেসিস, ই-ক্যাবকে সঙ্গ নিয়ে গীকি সোশ্যাল দিনব্যাপী আয়োজন করেছে ন্যাশনাল এফ কমার্স সামিট।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের থ্রি-ডি সেমিনার হলে এফ-কমার্স সামিটের আয়োজন করা হয়। সামিটে স্বল্প পুঁজিতে ফেসবুক ব্যবসা শিখতে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তরুণদের আত্নকর্মসংস্থান করে গড়ে তুলতে এবং তাদের এফ-কমার্স সম্পর্কে ধারণা দিতে এমন আয়োজন জানিয়ে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ জানান, আমাদের দেশে চার লাখের বেশি মানুষ ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষদের ট্রেনিং, কীভাবে ব্যাংক লোন পাওয়া যেতে পারে এবং খুব অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় সেই ধারণা দিতেই এমন আয়োজন।
এ সামিটকে সাজানো হয়েছে কয়েকটি ধাপে। সফলদের গল্প-গাঁথা, উদ্যোক্তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল বিষয়ক নলেজ সেশন, নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কৌশল শেখানোসহ সাতটি নলেজ সেশন রয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা সহায়ক প্রতিষ্ঠানের বুথ ও রয়েছে।
অনুষ্ঠানের চতুর্থ সেশনে ফেসবুক কন্টেন্ট প্রস্তুতকারীদের জন্য একটি সেশন রাখা হয়। সেশনে বাংলাদেশী শিক্ষা উদ্যোক্তা এবং ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব আয়মান সাদিক কিভাবে ভালো কন্টেট তৈরী করা যায় সে বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি বলেন, আগে মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করত ছবি কিংবা ভিডিও আপলোড দেয়ার জন্য। কিন্তু এখন ব্যবসার জন্য প্রচুর মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। যারা ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা আছেন তাদের জন্য এই সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়েরা নিরাপত্তা জনিত কারণে অনেক সময় বাইরে যেতে পারে না জানিয়ে আয়মান বলেন, মাত্র দশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে এফ কমার্সের মাধ্যমে তরুণরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবে। একটা প্রোডাক্টের ছবি কীভাবে তুলতে হয়, প্রোডাক্টের বর্ণনা কীভাবে দিতে হয়, গ্রাহকের সাথে কীভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয় এই বিষয়গুলো কেউ জানলে সে খুব সহজেই এফ কমার্সের মাধ্যমে তার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে।
সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহাতাব উদ্দীন আহমেদ, এসএসএল এর সিইও আশীষ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিব চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নিহাদ কবীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
অনুষ্ঠানে র্যাব ৪ সহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানকে এফ কমার্সের উন্নয়নে তাদের ভূমিকার জন্য ন্যাশনাল এফ কমার্স সামিট ২০১৯ পুরস্কার দেওয়া হয়।