জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের ৩টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৯:৫১ AM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১১ PM
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বুধবার (৭ মে) এই হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিনে ভারত দাবি করে, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে অন্তত নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’তে হামলা চালিয়েছে তারা।
ভারতের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকের ডাক পাকিস্তানের
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে ভারত একযোগে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জবাব হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
ভারতের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, সময় ও স্থান বেছে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-ভারতের পাল্টাপাল্টি হামলা, কোন দেশের কতজন মারা গেলেন?
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা তীব্র হয় ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য দায়ী করে। এরপর থেকেই সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতের দিকে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীতে কার কত অস্ত্র?
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক মহলও। দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থা।