ভুয়া সনদের অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ PM
মানববন্ধন

মানববন্ধন © টিডিসি ফটো

ভুয়া সনদের মাধ্যমে চাকরি নেওয়া, শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত জালিয়াতি, দুর্নীতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ স্যানিটারি ন্যাপকিন চুরির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন সাতক্ষীরার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে এসব অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করেন। তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।

প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল, যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাতক্ষীরা পৌর আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্বে আছেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত। তারা ঘোষণা দেন—প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত থাকলে তারা ক্লাস নেবেন না।

শিক্ষার্থীরাও একই অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক নারীদের জন্য বরাদ্দ স্যানিটারি ন্যাপকিন চুরি করেছেন এবং মেয়েদের প্রতি অশালীন আচরণ করেছেন। তারা জানান, তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। এসময় ‘প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ে হাজির হন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশের একটি টিম।

পরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, মমিনুর রহমান মুকুল ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু যার ভিত্তিতে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন বলে দাবি করেন, সেই শিক্ষা সনদ ইস্যু হয় একই বছরের ১৯ আগস্ট। অর্থাৎ, সনদ পাওয়ার প্রায় ৮ মাস আগেই তিনি চাকরি শুরু করেন।

আরও জানা যায়, তিনি ২০০৯ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পান। ওই সময় তিনি একটি বিএড সনদ দাখিল করেন, যা তিনি পেয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ থেকে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০০৮ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম ও সনদ বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ, ওই সনদ কোনোভাবেই বৈধ নয়।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমি কঠোর হওয়ায় শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়ে স্কুল ভবনের জন্য বরাদ্দ আনতে ঘুষ দিতে হয়েছে, তাই ফান্ডের টাকা খরচ হয়েছে। কেউ না চাইলে আমি স্কুলে থাকব না।

তবে জাল সনদের ব্যবহার ও অন্যান্য অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ঐক্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার অব…
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
জোটের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ৪ নেত…
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশতাকুর, সম্পাদক পাবেল
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপি সমর্থিত নেতার প্রার্থিতা গ্রহণ না করতে রিটার্নিং অফি…
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শোক
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫