বুলবুল হত্যায় ‘প্রেমিকা’ মার্জিয়ার সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২, ০৪:৪৫ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ হত্যায় প্রেমিকা মার্জিয়ার কোন সম্পৃক্ততায় পায়নি পুলিশ। তারা জানায় মূলত ছিনতাই করতেই তাকে খুন করা হয়েছে । এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানা প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পর্যন্ত তদন্তে আমরা যতদূর জেনেছি এটি একটি পরিপূর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিকেল ৪টা থেকে, সাড়ে ৪টার দিকে ২জন সেখান থেকে চলে যায় কথা বলতে বলতে। বাকি ২জন টিলায় অবস্থান করছিল। সন্ধ্যার পরে কামরুল আসেন। বুলবুল ও মার্জিয়াকে একাকী পেয়ে তাদের কাছে মোবাইল ও মানিব্যাগ দাবি করেন। ছিনতাই করার সময় বুলবুলের সাথে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। বুলবুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এর চিহ্ন রয়েছে। ব্যাপক ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘটনার অন্যতম হোতা কামরুল তারা হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুলবুলকে আঘাত করেন। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন তিন দিকে পালিয়ে যায়।
মার্জিয়ার ফোন নেয়নি কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজবাহার আলী জানান, মার্জিয়া কিছুটা দূরে ছিল তাই তার কাছ থেকে ফোন নেয়নি। বুলবুলের মানিব্যাগও নেয়নি। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে যখন ছুরিকাঘাত করেছে তখন রক্ত বের হতে দেখে ছিটকে তিনজন তিনদিকে চলে গেছে।
মার্জিয়ার কললিস্ট মুছে ফেলা, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ বলেন, মার্জিয়ার কললিস্ট এবং মোবাইল আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। তার কললিস্টের সাথে ছিনতাইকারীদের কললিস্টে কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বা ক্রিমিনাল কন্সপিরেসির মতো কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি।