আসন ফাঁকা থাকলেও রাবিতে আর ভর্তি নেয়া হবে না
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৯ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২, ১০:৫৬ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে প্রায় শতাধিক আসন ফাঁকা থাকলেও আর ভর্তি নেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছরই এরকম কম-বেশি আসন ফাঁকা থাকে। তবে এবার ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ায় আর ভর্তির কোনও সুযোগ নেই।
জানা যায়, গত ২১ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। সে সময়ও সব আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ১২৭টি, ‘বি’ ইউনিটে ৯৫টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ১৫৫টিসহ মোট ৩৭৭টি আসন ফাঁকা ছিল। পরবর্তীতে কয়েকবার ভর্তির সময়সীমা বাড়িয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: নিপুণ-জায়েদ নয়, সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সাইমন সাদিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, এবছর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ মোট তিন ইউনিটে ৪ হাজার ১৭৩ আসন সংরক্ষিত ছিল। যেখানে ‘সি’ ইউনিটে কোন আসন আর ফাঁকা নেই। তবে ‘বি’ ইউনিটে ১০টি এবং ‘এ’ ইউনিটে প্রায় ৮০টিসহ ৯০টির মতো আসন ফাঁকা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২০-২১) ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এবছর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ মোট তিন ইউনিটে ৪ হাজার ১৭৩ আসন সংরক্ষিত ছিল। যেখানে ‘সি’ ইউনিটে কোন আসন ফাঁকা নেই। তবে ‘বি’ ইউনিটে ১০টি এবং ‘এ’ ইউনিটে প্রায় ৮০টিসহ ৯০টি মতো আসন ফাঁকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের আগেই ঝুললো ফাঁসিতে
ফাঁকা থাকার বিষয়ে তিনি আরও জানান, প্রতিবছরই কম বেশি আসন ফাঁকা থাকে। কেননা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকটা আগেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। ফলে শিক্ষরর্থীদের অনেকে অন্যত্র চান্স পেলে তারা ভর্তি বাতিল করে সেখানে অনেকে চলে যায়। আবার আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে মাইগ্রেশান হয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পছন্দের তালিকার উপরের সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পায়। এভাবে প্রতিবছর ভর্তি কার্যক্রম শেষে কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুরো সিলেবাসেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা