‘অরুচিকর’ কাজ শিক্ষার্থীদের থেকে প্রত্যাশা করে না ঢাবি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫৬ AM , আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:২৩ AM
মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়ার ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। হলটির শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই ধরনের কাজকে ‘অরুচিকর’ উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ নিখোঁজ হননি। গতকালও তার সঙ্গে তিনি সভা করেছেন। প্রাধ্যক্ষের নামে শিক্ষার্থীদের সাঁটানো হারানো বিজ্ঞপ্তিটি ‘অরুচিকর’। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কাজ কেউ প্রত্যাশা করে না।
জানা গেছে, সূর্য সেন হলে সম্প্রতি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। হলের ক্যানটিনের খাবারও খুব নিম্নমানের। মশা নিধনেও হল প্রাধ্যক্ষের তেমন ভূমিকা নেই। হলে নেই ক্রীড়া সরঞ্জাম।
পড়ুন: হল প্রভোস্টের নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছে ঢাবি ক্যাম্পাস
এছাড়া মসজিদেও নেই কোন ইমাম। হলের বেশির ভাগ পানির ফিল্টারই নষ্ট পড়ে আছে। হলের শৌচাগারগুলোও খুবই অপরিচ্ছন্ন। এসব সমস্যার বিষয়ে হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হলেও সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেননি প্রাধ্যক্ষ। এর জেরেই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞপ্তিটি সাঁটান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, কিছুদিন আগে হলে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় প্রভোস্ট তেমন কোনো সমাধান দিতে পারেনি। ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ, আমরা মশায় যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ কিন্তু মশা নিধনে কোনো উদ্যোগ নেই; এমন নানা সমস্যা লেগেই আছে কিন্তু প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা এমন নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে।
তবে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, কোনো ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য বা কোনো দাবিদাওয়া থাকলে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কাজটি যারা করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন সেগুলো তুলে নিয়ে যান।