প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিককে অপহরণ করলেন চবি শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২১, ১১:২৯ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২১, ১১:৪০ PM
প্রেমের বিচ্ছেদ হওয়ায় প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিককে অপহরণ করল সাবেক প্রেমিক। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে এমনই ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত ওই প্রেমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আর তিন অপহরণকারী চবি প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছেন। তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটিটের এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই ইনস্টিউটিটের এক মেয়ের। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে মেয়েটি নতুন করে সম্পর্কে জড়ান চট্টগ্রাম কলেজের অপর এক ছাত্রের সঙ্গে।
জানা যায়, ওই ছাত্রীর পরীক্ষা থাকায় বর্তমান প্রেমিক তাকে ক্যাম্পাসে নিতে আসেন। এ সুযোগে সাবেক প্রেমিক দুই বন্ধুর সহযোগিতায় বর্তমান প্রেমিককে অপহরণ করে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে মেয়েটির সাবেক প্রেমিক শহিদুল ইসলাম বর্তমান প্রেমিক আব্দুল করিমকে অপহরণ করেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল পাহাড় এলাকায় আটকে রেখে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা খবর পেয়ে তাদের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন।
অপহরণকারী সাবেক প্রেমিক শহিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার সঙ্গে অপহরণে অংশ নেয়া অপর দুইজন হলেন-স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব নয়ন ও শ্রাবণ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে বর্তমান প্রেমিক আব্দুল করিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র। তিনি অনলাইনে একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শহিদুল ইসলাম নামের এক ছেলের সঙ্গে একই ইনস্টিটিউটের একটা মেয়ের রিলেশন ছিল। তাদের ব্রেকাপ হলে মেয়েটা অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। আজ মেয়েটির পরীক্ষা থাকায় ছেলেটি তাকে নিতে এলে শহিদুল স্থানীয় দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে অপহরণ করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মেয়েটি আমাদের খবর দিলে আমরা তাকে উদ্ধার করি এবং অপহরণকারী তিনজনকে আটক করি। আমরা তাদের পরিবারকে খবর দিয়েছি।