গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে নীতিমালা অনুমোদন জাবির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষকদের প্রকাশনা, স্নাতকোত্তর থিসিস, এমফিল ও পিএইচডি অভিসন্দর্ভে প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) প্রতিরোধে বিশেষ নীতিমালা অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২ জুন সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ‘এন্টি প্লেজারিজম গাইডলাইন-২০২১’ অনুমোদিত হয়। আবার গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত অনলাইন সিন্ডিকেট সভার ১ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষকদের প্রকাশনা, স্নাতকোত্তর থিসিস, এমফিল ও পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, প্রজেক্ট রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্লেজারিজম চেকার সফটওয়্যার দিয়ে নিরীক্ষা করে জমা সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে জমা দিতে হবে। এ নির্দেশ ২ জুন হতে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে প্লেজারিজম রুলস এন্ড রেগুলেশন কমিটি গঠন করা হয়। এর সভাপতি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম। এ কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় নীতিমালাটি উত্থাপিত এবং অনুমোদিত হয়।

এদিকে প্লেজারিজম প্রতিরোধে নীতিমালার কার্যকরিতা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নীতিমালা নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। যেসব বই ও ডকুমেন্টস অনলাইনে সেসব কিভাবে যাচাই করা হবে তা নিয়ে কিছু বলার নেই। সুতরাং এটির কার্যকারিতা নির্ভর করছে গবেষণা ও পুরো যাচাই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সকলের নৈতিকতার উপর।

অন্যদিকে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মাশরুর শাহিদ হোসেন বলেন, একটি ইতিবাচক সংস্কৃতির শুরু হিসেবে আমরা এটাকে ভালো বলতে পারি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকবোধ জাগ্রত করা না গেলে খুব বেশি সুফল আশা করা যায় না। তবে এ নীতিমালার ফলে চৌর্যবৃত্তি করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ