ঢাবির প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৫:১৯ PM , আপডেট: ১১ জুন ২০২১, ০৮:২১ PM
আজ ১১ জুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার হাত ধরেই ঢাবিতে নারী শিক্ষার সূচনা হয়। একাধারে তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক, জনহিতৈষী ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিপ্লবী অগ্নিকন্যা, বাংলার নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি।
লীলা নাগ আসামের গোয়ালপাড়ায় ১৯০০ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। মা কুঞ্জলতা ছিলেন গৃহিণী।
লীলার বাবার বাড়ি ছিল মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তরে, পাঁচগাঁওতে। ১৯১৬ সালে বাবা অবসরগ্রহণ করার পর তিনি স্থায়ীভাবে বাস করার জন্যে আসাম থেকে ঢাকায় চলে আসেন।
১৯৩৯ সালে বিপ্লবী অনিল রায়কে বিয়ে করেন লীলা। বিয়ের পর তার নাম হয় লীলাবতী রায়। ১৯৫২ সালে লীলা নাগের স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিয়ের মাত্র ১৩ বছরের মাথায় অকাল বৈধব্য ও বহুদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের সাথীকে হারিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন লীলা।
তবে কম সময়ের মধ্যেই শোক কাটিয়ে স্বদেশের বৃহত্তর স্বার্থে পুনরায় মনোনিবেশ করেন তিনি। ১৯৫২ সালের খাদ্য আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন।
১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে কলকাতার পি.পি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ দিন পর সংজ্ঞা ফিরে এলেও বন্ধ হয়ে যায় তার বাকশক্তি। শরীরের ডান অংশ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায়। এভাবেই আড়াই বছর চলার পর ১৯৭০ সালের ১১ জুন না ফেরার দেশে চলে যান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এই মহানায়িকা।