‘সাত মন ঘিও জোগাড় হবে না, রাজার মেয়েও নাচবে না’

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন  © ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কঠোর সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা বলা হয়েছে। টিকার যা অবস্থা তাতে কবে নাগাদ দেওয়া সম্ভব হবে তা মাথায় ঢুকছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ‘সাত মন ঘিও জোগাড় হবে না, রাজার মেয়েও নাচবে না’।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সারাদেশে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রবিবার কামরুল হাসান মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক এবং একইসাথে দুঃখজনক যে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বা খাত নেই যেটি বন্ধ আছে। অথচ হওয়ার কথা ছিলো উল্টো। কেননা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের ভবিষ্যৎ জড়িত। এটা আমাদের ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক ব্যর্থতা।

তিন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে পরদিন ১৩ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বলা হলো করোনার টিকা দেওয়ার পরই কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। আর টিকার যা অবস্থা তাতে কবে নাগাদ সকল ছাত্রীদের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে তা মাথায় ঢুকছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সাত মন ঘিও জোগাড় হবে না রাজার মেয়েও নাচবে না। 

করোনায় আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি অবস্থানের বিষয়টিকে ঝুঁকি হিসেবেই দেখছেন অধ্যাপক মামুন। তিনি বলেন, হল খুললে ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে আমাদের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা যে পরিমান গাদাগাদি করে থাকে সেই অবস্থায় খোলাটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট কোন বর্ষের জন্য খুলে কেবল পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাসগুলো নেওয়ার ব্যবস্থা করতে করা যেত। এইসব খুঁটিনাটি আইডিয়া তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে চিন্তা করে সরকারকে পথ দেখানোর কথা। কিন্তু এই উল্টো দেশে উল্টো জিনিস ঘটে। সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে পথ দেখায়।


সর্বশেষ সংবাদ