ঢাবি ছাত্রের গলা কাটা নিয়ে যা বলছেন সেই ডাব বিক্রেতা (ভিডিও)
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২১, ০৮:২৪ AM , আপডেট: ২৪ মে ২০২১, ০৮:২৪ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানের গলা কাটা লাশ পাওয়া গেছে নিখোঁজের ৯ দিন পর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাফিজুরের পরিবার ও স্বজনরা তার লাশ শনাক্ত করেছেন। ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এক ডাব বিক্রেতার বরাত দিয়ে পুলিশ দাবি করছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
রবিবার (২৩ মে) রাতে তার লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থী হাফিজের লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে। লাশটি তার বড় ভাই ও বন্ধুরা শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে কিভাবে সে গেছে তা খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদের পরের দিন শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে হাফিজুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেদিনই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়। পরে লাশের কোন ওয়ারিশ না পাওয়ায় তাকে হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনার ৯ দিন পর রবিবার তার সহপাঠীরা হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
হাফিজুরের সহপাঠীরা জানান, ঈদুল ফিতরের পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাফিজুর। পরে বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডার শেষে তিনি চলে যান। তার মায়ের সাথে সর্বশেষ কার্জন হলের সামনে বসে মোবাইলে কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
ডাব বিক্রেতার দা দিয়ে গলা কাটেন হাফিজ, দাবি পুলিশের
পুলিশ বলছে, শহীদ মিনার এলাকায় একজন ডাব বিক্রেতার দা দিয়ে নিজের গলা কাটেন হাফিজ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, গত ১৫ মে শনিবার হাফিজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এসে আমাকে মাফ করে দাও! আমাকে মাফ করে দাও! বলতে বলতে এসে ওখানকার ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় চালিয়ে দেন। এরপর দৌঁড়ে মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগের সামনে চলে যান।
তিনি বলেন, সেখান দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেয়ার সময় সে চলন্ত রিকশা থেকে লাফ দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সে চিকিৎসা নিতেও অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় তখন অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
এরপর ওই ডাব বিক্রেতার ঘটনার সময়ের বর্ণনা দেওয়া একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে পুলিশকে ডাব বিক্রেতার বক্তব্য নিতে দেখা যায়। ডাব বিক্রেতা জানান, একজন যুবক এসে তার দা দিয়ে গলায় চালানো শুরু করেন। প্রথমে ভয় দেখাচ্ছেন মনে করলেও পরে রক্ত দেখে বাধা দেন। এসময় দা রেখে ওই যুবক দৌঁড়ে চলে যায়।
শুরুতে এ বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছিলেন কেন, পুলিশ জানতে চাইলে ওই ডাব বিক্রেতা বলেন, তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। চোখের সামনে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে। ভিডিওটি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। শাহবাগ থানা পুলিশই ভিডিওটি ধারন করে বলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন তারা।