শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ দেওয়া ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ বাতিল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৪ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ PM
২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ আজীবন সদস্য দেওয়া হয়েছিল। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ডাকসুর (২০২৫ সালের কমিটির) দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং এই সিদ্ধান্তটি ছিল ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে। কেননা আজীবন সদস্যপদ দেওয়া যেতে পারে—ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই। সে সময় ডাকসুর সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে পরে সেটি রেজুলেশেন হয়। আজকের সভায় সেই রেজুলেশেনটি অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিক এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল হচ্ছে
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসুর কনফারেন্স রুমে ২০২৫ সালের কমিটির দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ডাকসুর তৎকালীন কমিটির প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এর সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছিলেন। পরে ৩০ মে দ্বিতীয় সভাতেও তারা বিষয়টিতে আগের মতোই আপত্তি তুলেছিলেন। তবে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্য ২৩ প্রতিনিধির সম্মতিতে দ্বিতীয় সভায় তা গৃহীত হয়েছিল।
দ্বিতীয় সভা শেষে তৎকালীন ভিপি নুরুল হক নুর বলেছিলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যেহেতু বিতর্ক রয়েছে, তাই এই ডাকসু থেকে কাউকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন করি না। তবে ছাত্রলীগ চাইলে গায়ের জোরে সবই করতে পারে।’