এবার উচ্ছেদ অভিযানে থাকার ঘোষণা ডাকসুর আরেক সদস্যের

ডাকসু ও ঢাবি শিবির নেতা মেফতাহুল হোসাইন আল মারুফ
ডাকসু ও ঢাবি শিবির নেতা মেফতাহুল হোসাইন আল মারুফ  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মাদক কারবারি, ভবঘুরে ও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযানের সময় গতকাল (মঙ্গলবার) ডাকসু প্রতিনিধি সর্ব মিত্র চাকমার লাঠি হাতে এক বৃদ্ধকে তাড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচনার কারণে আর মাঠে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সর্ব মিত্র।

এরই মধ্যে, সর্ব মিত্রের বিকল্প হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য মেফতাহুল হোসাইন আল মারুফ।

বুধবার (০৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসুবকে নিজ অ্যাকাউন্টে তিনি এ ঘোষনা দেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, আগামীকাল থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে মাঠে আমি থাকব ইনশাআল্লাহ, দেখি কে আসে সামনে?

এদিকে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা এক বৃদ্ধ লোকটিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্য ওই বৃদ্ধের ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে বৃদ্ধ তাড়ানোর ভিডিও ভাইরাল, ডাকসু নেতাদের দাবি— ‘তিনি মাদক ব্যবসায়ী’

তবে ডাকসু নেতাদের দাবি, লোকটি বয়োবৃদ্ধ হলেও মূলত মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত। তিনি ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহ করে থাকেন। এর আগেও তাকে বারবার বুঝিয়ে চলে যেতে বলা হলেও তিনি মাদক সরবরাহের কাজটি করেই যাচ্ছেন। যার কারণে, গতকাল তাকে জোর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয়েছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করলেও আর মাঠে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন সর্ব মিত্র চাকমা। তিনি বলেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোকটাকে সেই মেট্রো স্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, উনার সাথে আরেকজন আরো বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত, এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল।’

তিনি বলেন, ‘এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই, লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায় ই না। আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নেই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু।’

এ বিষয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে তিনি একজন মাদক কারবারী। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ এইখানে তার মাদকের কারবার!

তিনি আরও বলেন, সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই এপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।

 

 

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ