ডাকসুর ভোট গণনায় সময় লাগার যে কারণ জানালেন প্রশাসন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০১ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় বেশি সময় লাগার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্রপ্রধান অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনও ভোট গণনা শেষ হয়নি। তিনি জানান, এই কেন্দ্রে চারটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। ফলে ব্যালট প্রক্রিয়াজাত করতে সময় বেশি লাগছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে হল সংসদের ব্যালটগুলো যাচাই-বাছাই (স্ক্যানিং) করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ডাকসুর ব্যালটগুলোর মধ্যে একটি ব্যালটের স্ক্যানিং শেষ হয়েছে। তবে এখনো গণনা (কাউন্টিং) শুরু হয়নি। সেটি আগে যেভাবে জানিয়েছি, সে অনুযায়ী এখনো স্ক্যানিং পর্যায়ে আছি।’
অধ্যাপক শামীম রেজা আরও বলেন, ‘ডাকসুর ব্যালটগুলোর ভেতরে একটি ব্যালটের স্ক্যানিং শেষ হয়েছে। আরও দুটি ব্যালটের প্রক্রিয়াজাত চলছে। প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মতে, আরও কিছু সময় লাগবে। মাঝরাত পার হতে পারে।’
ভোট গণনায় এত সময় লাগার কারণ হিসেবে তিনি প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটিকে দায়ী না করে বলেন, ‘এটা টেকনিক্যাল এরর না। যাঁরা প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাঁরা জানেন—এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে (টেস্ট রান) স্যাম্পল ম্যাপ তৈরি করে সেটি ম্যানুয়ালি হিসাব করতে হয়। তারপর সেটি প্রযুক্তিগতভাবে একাধিকবার যাচাই করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। এরপর সব ব্যালট বাক্স একটি কেন্দ্রীভূত স্থানে আনতে সময় লেগেছে। তা আনতে আনতে পাঁচটার ওপরে বাজে। এরপর প্রতিটি ব্যালট আলাদা করে প্রক্রিয়াজাত ও বাছাই করতে হচ্ছে। কারণ ব্যালটগুলো একরকম করে দেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আলাদা করতেও সময় লাগছে। আমরা বিরতিহীনভাবে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ডাকসুর মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছিলেন ২৫ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ছিলেন ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন।
মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে।