জাবিতে ‘রেড জুলাই’ র্যালি ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৩ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মুখে লাল কাপড় বেঁধে ‘রেড জুলাই’ র্যালি অনুষ্ঠিত এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে রেড জুলাই র্যালি পালন করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘অদম্য-২৪’ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাভার এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহিদ পরিবারদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
এ সময় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে শুধু কথা বলার জন্য অনেককে নিষ্পেষিত হতে হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সেই শোষণ থেকে মুক্তি দিয়েছে। এই অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে না পারলে এবং শহিদ ও আহতদের রক্তের ঋণ মনে রাখতে না পারলে, তাদের প্রতি অনেক বড় অবিচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক নামকরণের মাধ্যমে স্মরণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘৩৬ জুলাই স্বৈরাচার হাসিনার পতন দিবস উদযাপন-২০২৫’ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের সদস্যরা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রতিনিধিরা স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাভার অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং সাভার অঞ্চলের শহিদদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে জুলাই গাথা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন (২৮ জুলাই-২ আগস্ট, ২০২৫) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আয়োজনে গীতিনাট্য, গান, কবিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।