ঢাবিতে সাম্য হত্যার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১২:২৩ AM , আপডেট: ১৬ মে ২০২৫, ০১:১০ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার এবং বহিরাগত মুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৫ মে )রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে আমার ভাই সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এটা দেখতে চাই না যে তিনি কোন সংগঠনের সদস্য। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি ঢাবি শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে । এর পেছনে কাদের হাত রয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। আমরা সাম্য হত্যার বিচারের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, আজকে আমাদের এই বিক্ষোভ কোন ভাবেই বহিরাগতের বিরুদ্ধে না। গত পরশু একটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আজকে আমাদের বিক্ষোভ। সাম্য হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল লাশের রাজনীতি করছে। তারা ক্যাম্পাসে বাইরের বিষয়কে ক্যাম্পাসে এনে ভিসি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসে বহিরাগত এনে ছাত্রদল এক ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীরা কথা বলবে। কোনো টোকাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একটা ক্যাম্পাসের ভেতরে বাইরের কেউ এসে চাপ প্রয়োগ করতে বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
বিক্ষোভ মিছিলে তারা নিরাপদ ক্যাম্পাস ও সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-অতি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাম্য হত্যার বিচার করা, ক্যাম্পাসে বহিরাগত যান চলাচল সীমিত করা, ঢাবির রেজিস্ট্রেশনকৃত দোকান ছাড়া অন্য যে দোকানগুলো রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা, উদ্যানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য উদ্যান সংলগ্ন যে দুটি গেট রয়েছে সেগুলো চিরস্থায়ী ভাবে বন্ধ করা, ঢাবির ভেতর সিটি কর্পোরেশনের যে রাস্তাগুলো রয়েছে সেগুলো ঢাবির অধিভুক্ত করা, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসে নজরদারি করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।