জাবিতে পরীক্ষায় অংশ নিলেন জুলাই হামলার বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১০:২২ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই আন্দোলনে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. আদনান সাইফ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ রবিবার (৪ মে) তৃতীয় বর্ষের ‘নিউক্লিয়ার ফিজিকস’ কোর্সের পরীক্ষায় 'রিপিটার' পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেন তিনি।
গত বছর জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষে গত ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
ওই বহিষ্কারের আওতায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ নম্বর মো. আদনান সাইফ।
বহিষ্কারের পরও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ একই বিভাগের একজন তার ফেসবুকে লেখেন, ‘বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাথে পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম। ধন্যবাদ প্রশাসনকে বহিষ্কার এর এমন সুন্দর নজির স্থাপনের জন্য।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পার পেয়ে যাওয়া মানে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও একটি অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এভাবে বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রতায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সুযোগ পাচ্ছেন। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে ছাত্রলীগ ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, যা জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমি তার বহিষ্কারের বিষয়ে জানি না। প্রশাসন থেকে বিভাগের সভাপতি বরাবর চিঠি আসে। বিভাগের সভাপতি ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়ে আমাকে অবগত করেননি।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী (সাইফ) পরীক্ষা দিয়েছে কি না বলতে পারব না। তবে আজ সকালে ওই শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা মিলে আমার কাছে আসছিল। সে হামলাকারী না বলে জানায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে অংশগ্রহণ করেছিল, এমন ছবিও আমাকে দেখিয়েছে। সঙ্গে একটি অ্যাপ্লিকেশনও দিয়েছে। আমি সেগুলো উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’