চবি সহকারী প্রক্টরের উপর হামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৭ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের সামনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো শহিদুল হক বলেন, ‘ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক হবে অত্যন্ত সুগভীর ও ভালো সম্পর্ক। ফ্যাসিবাদ এখনো নামে বেনামে বিদ্যমান আছে। কখনো আনসার নামে, কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী নামে তাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আরেকজন শিক্ষকের পাশে থাকতে চাই। এমন বিব্রতকর অবস্থার সুষ্ঠু সমাধান চাই।’
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক মো. জিহাদ বলেন, ‘আমরা কাজ করছি মূল্যবোধ সংরক্ষণে। আমাদের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. কোরবান আলী স্যারের ওপর প্রকাশ্যে হামলা ছাত্রীদের মূল্যবোধের চরম অবনতির বহিঃপ্রকাশ। এই হামলাকারী গোষ্ঠীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে না পারলে প্রশাসন ব্যর্থ বলে গণ্য হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শান্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি সমূহ হলো: আফসানা এনায়েত এমির স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিল করতে হবে, যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, অন্যথায় আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।’
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের উপদেষ্টা, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একটু আগে একজন অভিভাবক আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, এ কেমন অসভ্যতা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়েও কোন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার দুঃসাহস দেখিনি। আমাদের বাসায় হামলা করেছে কিন্তু, তারা গায়ে হাত তোলার সাহস করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীলরা থাকবে, কনজার্ভেটিভরাও থাকবে। কিন্তু অবশ্যই বাউন্ডারির মধ্যে থাকতে হবে। শিক্ষকরা হলো রেডলাইন। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর ৩৩ ক্লজ অনুযায়ী যেকোনো কিছু করতে পারে। অথচ এই দালাল প্রশাসনের এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নাই।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের সামনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তুলে আইন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান।