উত্তাল জাবি, অবরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ PM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৫ PM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করেন তারা।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন এবং সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন—কোটা না মেধা, মেধা মেধা!, প্রশাসনকে খবর দে, পোষ্য কোটা কবর দে!, জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে!
বিকেল ৪টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা। তার সামনেই শিক্ষার্থীরা প্রতীকী কবর খুঁড়ে পোষ্য কোটার "কবর" দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা আজকের মধ্যেই প্রশাসনের বক্তব্য শুনতে চান। পোষ্য কোটা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কৃষকের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে এখানে পড়তে পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে বড় হওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কোনো বিশেষ সুবিধার প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমরা আজ এই অযৌক্তিক কোটা চিরতরে বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।
একপর্যায়ে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনিক সভার জন্য সময় চান। শিক্ষার্থীরা তাঁকে চার ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে গেলে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ নারী ও কর্মচারীদের তালিকা করে বের হওয়ার সুযোগ দেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, আমি একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।