জাবিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ

জাবি
জাবি  © সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর নিজ বিভাগের সভাপতি এবং ওই হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু মেহরাজ শোয়েব। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ফাইজার রহমান, আলিফ বিন মহাব্বত এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান। তারাও প্রত্যেকে একই ব্যাচের একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, মেসেঞ্জার গ্রুপের ক্ষুদ্র ঘটনা কেন্দ্র করে গত ৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটায় তার নিজ হল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের নিজ কক্ষ থেকে বের করে ফাইজার, আলিফ, নোমান সহ আরো কয়েকজন তাকে মারধর করে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ফাইজার তার কান বরাবর সজোরে দুইটা থাপ্পড় মারে। ফলে তিনি কানে প্রচণ্ডভাবে আঘাত পায় এবং তার ব্যবহৃত চশমা ভেঙে যায়। একই সাথে যাওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। নোমান তাকে ঘটনাটি জানাজানি না করার হুমকি দেয়। ঘটনা পরবর্তী সময়ে, তারা বিভিন্ন জায়গায় তাকে এ ঘটনা নিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করে। এক পর্যায়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হন।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাদী বলেন, ঐদিন ফাইজার, আলিফ সহ কয়েকজনকে আমি শোয়েবের রুমের সামনে দেখি। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে ফাইজার তাকে জোরে থাপ্পড় মারে এবং তার চশমা ফ্লোরে পড়ে গিয়ে গ্লাস খুলে যায়। শোয়েবকে অনেক গালাগালি করা হয় কিন্তু সে কোন ধরনের গালাগালি করেনি।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষার্থী ফাইজার বলেন, ছোট্ট একটি ঘটনা নিয়ে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরবর্তীতে আমি তার রুমের সামনে গিয়েছিলাম বিষয়টা মিটমাট করার জন্য। আমাদের ভেতরে কথা কাটাকাটি হয়েছে তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, আমি সেখানে ছিলাম কিন্তু মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নোমান বলেন, এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল কিন্তু আমি তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করছিলাম।

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। একই সাথে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রমাণ ও স্ক্রিনশট দেখেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তারানা বেগম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে কোনো মতেই এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 


সর্বশেষ সংবাদ