শিক্ষার্থীদের ‌‘মীরজাফর’ বলা চবির সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

শিক্ষার্থীদের ‌‘মীরজাফর’ বলা সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর
শিক্ষার্থীদের ‌‘মীরজাফর’ বলা সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

হলে থাকা মালামাল নিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হায়াত উল্লাহ।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হায়াত উল্লাহ চবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের কর্মী।

জানা যায়, আবাসিক হলের আসন বরাদ্দের লক্ষ্যে আগামীকাল রবিবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে হল থেকে নিজেদের মালামাল সরাতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শহিদ আবদুর রব হল থেকে নিজের মালামাল নিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন হায়াত উল্লাহ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে তার সহপাঠী সাইদুর রহমান জুবায়ের শনিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আজ সকাল আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাত তিনজন হায়াত উল্লাহকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়।

এসময় আরও ১০-১২ জন তাকে রুমে আটকে মারধর করেন। মারধরের ফলে তার বাম হাত ও পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। পরে একজন সহকারী প্রক্টর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করে।

জানা গেছে, মারধরের শিকার হায়াত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মী হায়াত উল্লাহর আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার বেশকিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হায়াত উল্লাহ আন্দোলনকারীদের 'হল থেকে বের করে দেওয়া', 'খুঁজে খুঁজে লিস্ট করা'র হুমকি দিতে দেখা যায়। এছাড়া আন্দোলনকারী 'মীরজাফর' বলেও সম্বোধন করতে দেখা যায় হায়াত উল্লাহকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর সহপাঠী সাইদুর রহমান জুবায়ের বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর আমি পাশের একটা দোকানে বস্তা আনতে যাই। এসে তাকে না পেয়ে কয়েকবার কল করি। এরপর যখন তার ফোন ধরে অন্য একজনের কথা শুনতে পাই, তখন বুঝতে পারি কিছু হয়েছে। পরে হলের স্টাফদের কাছে মারধরে কথা জানতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন চলার সময় সে সরাসরি কাউকে আঘাত করেনি। ছাত্রলীগের ভিএক্সের গ্রুপে ম্যাসেজ দিয়েছে। সেখানে হুমকি দামকি দিয়েছিল শুধু। সে ঐসময় ক্যাম্পাসেও ছিল না। আমরা জানিনা কারা মারধরে জড়িত। প্রক্টর স্যার বলেছেন সিসিটিভি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি আমরা। কাল সকালে আমরা অভিযোগের বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence