ঢাবিতে গণভোজ থেকে গণবিয়ের ঘোষণা যেভাবে এলো

ঢাবিতে গণভোজ থেকে গণবিয়ের ঘোষণা যেভাবে এলো
ঢাবিতে গণভোজ থেকে গণবিয়ের ঘোষণা যেভাবে এলো  © ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পেজ থেকে সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে চলছে ‘স্বাধীনতা ২.০’ ভোজের আয়োজন। এই ভোজের আয়োজনকে আরেকধাপ এগিয়ে গণবিবাহ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এই বিয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে পাত্র-পাত্রী খুঁজে বেড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।   

এ বিষয়ে ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে জহুরুল হক হলের গণবিবাহ কর্মসূচি একটা ইতিহাস রচিত করবে। ক্যাম্পাসে যারা রিলেশনশিপে আছেন এবং বিয়ে করতে চাচ্ছেন, তারা এই মহাযজ্ঞে শামিল হয়ে ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। আর এদিন আমাদের হলের গরু ভোজকে আমরা বউভাত হিসেবে বিবেচনা করব।

গণবিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম নামে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছে, এটা প্রসংশনীয় উদ্যোগ। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান যেন দুই পরিবারের সম্মতিতে হয় এবং বর-কনের দুপক্ষের বাবা-মা বা অভিভাবক যেন উপস্থিত থাকে সেটা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করছি। বিয়ে সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক।

আরও পড়ুন: ঢাবির তিন হলের নাম বিকৃত করেছিল ছাত্রলীগ

হঠাৎই গণবিয়ের বিষয়টি কীভাবে মাথায় আসলো প্রশ্নে আয়োজনের উদ্যোক্তা আল আমিন সরকার বলেন, প্রথমে স্বাধীনতা উদ্‌যাপনে এক মহাভোজের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই হল। এরপর তাঁর মাথায় অন্য বুদ্ধি আসে। অনেক কপোত-কপোতীই তো আছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, তাঁরা হয়তো বিয়ে করতে চাইছেন, তবে ছেলেটি বেকার বলে রাজি হচ্ছে না মেয়ের পরিবার। তাঁদের বিয়ের ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ হয় না। যেমন কথা, তেমন কাজ। সিদ্ধান্ত হয়, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী যাঁরাই বিয়ে করতে আগ্রহী, তাঁরা যেন জানান তাঁদের আগ্রহের কথা। শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে সম্পূর্ণ নিজ খরচে করাবেন তাঁদের মালাবদল। তবে দুটি শর্ত আছে—পাত্রকে অবশ্যই জহুরুল হক হলের হতে হবে এবং পাত্রী নির্ধারণ করে নিয়ে আসতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আমাদের হলে ঘরোয়া পরিবেশে একটি গেট-টুগেদার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ