সাংবাদিক নির্যাতন মামলার ৪৮ ঘন্টার পরেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ PM
সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল শাদী ভূঁইয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে শাহবাগ থানার ১৯ এবং ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলা করার ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারি নি শাহবাগ থানা পুলিশ।
গত (মঙ্গলবার) ৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বঙ্গমার্কেটের বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের দোতলায় এমন ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলে তাদেরকে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, শাহবাগ থানার ১৯ ও ২০ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু ও বিএনপির পদ প্রত্যাশী নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ডের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফ।
বেআইনিভাবে জনতায় মিলিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরতর জখম এবং বল প্রয়োগ করে সম্পত্তি আদায় করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি।
মামলায় অন্তর্ভুক্ত আসামী, বিএনপি পদ প্রত্যাশী নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন (৪০)। তিনি শাহবাগ থানা বিএনপির ২০ নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব। ২য় আসামী আবুল হোসেন টাবু (৪৫), তার বাসা সেগুনবাগিচা। এবং তৃতীয় আসামী মাসুদ ইউসুফ (৪২)।
তিনি শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০ জন বিবাদী। এ.কে.এম, সাহাবুদ্দিন শাহীনের (পিপিএম) স্বাক্ষরিত এক মামলার বিবরণীতে শাহবাগ থানার সাব- ইন্সপেক্টর সাইমুল ইসলামকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, আসামীরা আশেপাশের এলাকায় এখনো ঘোরাঘুরি করছে। এমনকি তারা বঙ্গবাজার ইসলামিয়া মার্কেটে এখনো অব্দি প্রভাব বজায় রেখে চলেছে। আর এদিকে পুলিশ বলছে আসামিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তারা আসলেই কি আসামি খুঁজে পাচ্ছে না! আমি যতদূর শুনেছি,আসামীরা এবিষয়টি পুলিশের সাথে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে! তারা কেনো এটা করতেছে এটি আমার বোধগম্য নয়। আমি তো মিমাংসা করার জন্য মামলা করিনি।
আসামীকে খুজে পাওয়া গেছে কিনা এই প্রসঙ্গে মামলার দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এসআই সাইমুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন,আমরা এখনো আসামিকে ধরতে পারি নাই কিন্তু আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা আসামিকে ধরতে পারবো বলে আশা রাখছি।