উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চবি শিক্ষকরা

  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে'র পদত্যাগের দাবিতে ৪ দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতি। আগামীকাল থেকে এ আন্দোলন যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা( আঁখি) ও সহযোগী অধ্যাপক শেখ সাদি।

এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা আজ যখন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস, পরীক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার কথা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দুজন অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য এবং মাননীয় উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কিংবা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা অনাকাঙ্ক্ষিত  এবং চরম দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রমের কারণে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানামুখী বির্তকের জন্ম দিয়ে আসছিলেন তাঁদের নেতৃত্বাধীন এ প্রশাসন। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের ব্যানারে শহিদ মিনারের ছবি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের নামে যুক্তরাষ্ট্রীয় টানেলের ছবি স্থাপন করে যেমনি অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, তেমনি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে চরম লজ্জার মধ্যে নিপতিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে জাতির পিতা কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৭৩ এরনএক্ট-এর অধীন স্বায়ত্তশাসিত চারটি বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ কে সমুন্নত রাখতে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর জন্য শিক্ষক সমিতি সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে আমরা আগামীকাল থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

উল্লেখ্য, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির 'না' করা সত্ত্বেও চবিতে বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৭ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি। পরে কয়েকজন প্রার্থীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে অভিযোগ করে অনশন কর্মসূচি ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক সমিতি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম 'বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩' লঙ্ঘন করা এবং অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে এবার তারই ধারাবাহিকতায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করলো শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence