ছবি আঁকার সময় জাবি ছাত্রীকে কারের ধাক্কা, দুই শিক্ষককে গণধোলাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ PM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ PM
ছবি আঁকার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে পেছন থেকে একটি কার ধাক্কা দেয়। এরই জেরে সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা দিয়ে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ও মানবিক অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার ওই দুই শিক্ষকের একজন লিডিং ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার এবং আরেকজন জুনিয়র লেকচারার।
আহত ওই ছাত্রীর নাম সামিয়া আক্তার রিয়া। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
জানা যায়, দুপুরের দিকে পুরাতন কলা ও মানবিক অনুষদের সামনের চত্বরে বেঞ্চে বসে ছবি আঁকা অনুশীলন করছিলেন সামিয়া। এসময় ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা ওই দুই শিক্ষকের কার পেছনে গিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় সামিয়াকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তাৎক্ষণিক সামিয়ার সহপাঠীরা ওই শিক্ষকদের গণধোলাই দিয়ে নিরাপত্তা শাখার কাছে তুলে দেন। এসময় ওই শিক্ষকদের গাড়ি জব্দ করে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে যায় নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে চারুকলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হয়ে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাবাবদ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। পরে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান ওই শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, চারুকলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে গাড়ির ধাক্কা দিয়ে আহত করার জেরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের গাড়ি আমরা আটক করা হয়। পরে জরিমানা দেওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের মারধর করতে পারে। তবে পরে ওই সময় আমি ছিলাম না। পরে দুই শিক্ষক জরিমানা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন।
চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির ২ শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় আমাদের এক ছাত্রী আহত হয়। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে ডাক্তার তেমন কোনো ইনজুরি নেই বলে জানায়। তবে ছাত্রীর পিঠে ব্যাকপেইন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির কারণে প্রক্টর অফিসের তত্ত্বাবধানেওই শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আপাতত ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বড় কোনো ঝুঁকি দেখা দিলে ওই শিক্ষকরা দায়ভার নিবেন বলে জানিয়েছেন।