বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে: ঢাবি ভিসি

বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাবি উপাচার্য
বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাবি উপাচার্য  © টি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‍মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণে সকলকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অবহেলিত, বঞ্চিত ও হতাশাগ্রস্ত মানুষকে সমাজ ও কর্মের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এদিন ‘কমিউনিটি ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য: বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী ঢাবি উপাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধাসমূহ দূর করতে হবে।

বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শাহানূর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন মিসেস জোবেদা খাতুন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে তাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতের পেশাজীবী সংকট নিরসন করা সম্ভব। দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশের ১৮ দশমিক ৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। দেশের ৯২ ভাগ লোক মানসিক রোগের কোন চিকিৎসা গ্রহণ করে না। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর অপ্রতুলতা রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence