২৪ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ঢাবি ছাত্র তানভীরের

তানভীর
তানভীর  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী তানভীরকে (২৩) এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দিনের মতো খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দলের সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি তানভীরের।

সোমবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাসুদ-রুমী সেতু সংলগ্ন রেলব্রিজের নীচে পাঁচ বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামলে তিনজন তলিয়ে যায়। চারজন নিরাপদে তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।

তানভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। বন্ধুদের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় ঘুরতে গিয়ে গড়াই নদে নামার পর নিখোঁজ হন তিনি। গতকাল রাতেই তাঁর বাবা আবদুল মালেক, বোন ও দুলাভাই কুষ্টিয়ায় যান। সকাল থেকেই তাঁরা নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আবদুল মালেক বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি ছেলের নিখোঁজের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানায়, তানভীর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন বন্ধু নিয়ে মাইক্রোবাসে করে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসেন। তাঁরা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগরে যান। সেখান থেকে যান কুষ্টিয়ায় ফকির লালন শাহের মাজারে।

এ বিষয়ে ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরেছি। নিখোঁজ ছেলেটি বোন-দুলাভাইয়ের সাথে শাহবাগে থাকতো। আমাদের বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। সে অত্যন্ত নর্ম ভদ্র প্রকৃতির ছিল। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে কুমারখালী উপজেলার গড়াই রেলসেতু এলাকায় গড়াই নদে নেমে তলিয়ে যান তানভীর। এ সময় তানভীরের দুই বন্ধুও নদীতে নেমেছিলেন। তবে তাঁরা তীরে উঠতে পেরেছিলেন। ঘটনার পরপরই কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন: প্রতারণার ফাঁদে অধ্যাপক থেকে পিওন, দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা কর্মচারী

সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দীন বলেন, নদী বেশির ভাগ জায়গায় হাঁটুপানি। স্রোতে ভেসে যাওয়ার তেমন সম্ভাবনা কম। তবে কয়েক জায়গায় গর্ত আছে। সেখানে পানির স্রোত আছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতে তানভীর পানির নিচে চাপা পড়তে পারেন। এ জন্য খুঁজতে সমস্যা হচ্ছে। অন্য কারণও হতে পারে। তানভীরের সঙ্গে আসা বন্ধুরা কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে রাতে ছিলেন। তাঁরা সেখানেই আছেন, তাঁরা সবাই সুস্থ আছেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, সকাল থেকে নৌকায় করে নদীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখা হচ্ছে। কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তানভীর যেখানে নিখোঁজ হয়েছেন, সেখানেই বালুর নিচে কোথাও চাপা পড়ে থাকতে পারেন।


সর্বশেষ সংবাদ