শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলেন বশেমুরবিপ্রবি ট্রেজারার, অডিও ভাইরাল

বশেমুরবিপ্রবি ট্রেজারার 
 ড. মোবারক হোসেন
বশেমুরবিপ্রবি ট্রেজারার ড. মোবারক হোসেন  © ফাইল ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মতবিরোধের জের ধরে শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোবারক হোসেন। 

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৭ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয় এবং সেখানে ট্রেজারারকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বাক্য বলতে শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘বর্তমান আলো’ নামে একটি পেজ থেকে অডিওটি পোস্ট করা হয়।

জানা যায়, গত ২৪ মে পদোন্নতি ও ডিউডেট জটিলতা সমাধান সংক্রান্ত সভায় ট্রেজারার এসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। উক্ত সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন এক্সটার্নাল মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।
 
সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী, সভায় সবাই যখন কাগজপত্র পর্যালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তখন ট্রেজারার হঠাৎ বলেন তিনি ঢাকায় যাবেন। এ সময় তার গাড়ির প্রসঙ্গ আসে। ট্রেজারার বলেন, তার টাকা-পয়সা যথেষ্ট আছে৷ তিনি উপাচার্যের বন্ধু বলে এখানে এসেছেন। যদি এখানে তার গাড়িসহ সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করা হয়  হয়ে তবে তিনি চলে যাবেন। এসময় তিনি চলে গেলে কি করবেন তা উল্লেখ করেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

এদিকে, ট্রেজারারের অডিও ভাইরাল হলেও সিনিয়র শিক্ষকদের অধিকাংশ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি।  সভায় উপস্থিত ছয় ডিনের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও সবার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ  বিষয়ে সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো: শাহজাহান বলেন, সভায় ভিসি স্যার, রেজিস্ট্রারসহ এক্সটার্নাল মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সব ঘটেছে। আমি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক না।

মানবিক অনুষদের ডিন আশিকুজ্জামান ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘শোনো ভাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ঈশিতা রায় বলেন, আপনারা সবই জানেন সবই শুনেছেন, এই মুহুর্তে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনা।

এদিকে, এ ঘটনায় শুক্রবার (২জুন) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা সাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, শিক্ষকবৃন্দ কোষাধ্যক্ষের সাথে আর কোনো শিক্ষক-সংক্রান্ত মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবেন না। কোষাধ্যক্ষেরব পক্ষ থেকে এরূপ ন্যাক্কারজনক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অপদস্থ ও হেয়প্রতিপন্ন করা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে শিক্ষক সমিতি।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।


সর্বশেষ সংবাদ