রাবিতে অনশন ভাঙাতে এসে ব্যর্থ শিক্ষকরা, শিক্ষার্থীদের সাথে হাতাহাতি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৫৬ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ফলাফল বিপর্যয়ে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙ্গাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন বিভাগের শিক্ষকরা।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন অব্যাহত রাখলে বিকাল ৩টায় বিভাগের শিক্ষকরা তাদের অনশন ভাঙাতে আসেন।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান শিক্ষার্থীদের একাধিকবার নিজ ডিপার্টমেন্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নিতে বললেও দাবি আদায় ছাড়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর শিক্ষকদের নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: ফল বিপর্যয়ের সমাধান না পেয়ে আমরণ অনশণে রাবি শিক্ষার্থীরা
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হলে অনশন ভাঙা হবে না। আমাদের উদ্দশ্যে প্রণোদিতভাবে ফল বিপর্যয় ঘটানো হয়েছে। আমাদের দাবি ছাড়া এখান থেকে যাবো না। শিক্ষকদের পারস্পরিক রাজনৈতিক কোন্দলের ফল আমরা কেন ভোগ করবো? আশানুরূপ ফল না পেলে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেয়ার কথাও বলেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। তার মধ্যে ১৭ জন ফেল করেছে। বাকিদের ফলাফলও খুবই খারাপ। তাদের দাবি, বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যকার রাজনীতির কারণে ফলাফলের এমন অবস্থা। এ নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ করলে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা অনশন শুরু করেছেন। আশানুরূপ ফল না পাওয়া পর্যন্ত অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জানতে চাইলে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করছি। ফল বিপর্যয়ের বিষয়টা এখন আর আমাদের ডিপার্টমেন্টের হাতে নেই। এই বিষয়ে ডিপার্টমেন্টের কিছুই করার নেই। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন এই বিষয়টি দেখছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম.তারেক নূর বলেন, আমরা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের কথাই শুনেছি। কম সময়ের মধ্যে এইটার সমাধান করা যাবে না। এইটার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে সঠিক কারণ বের করতে হবে। তারপর সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। ১ম সেমিস্টারে ভালো রেজাল্ট করে ২য় সেমিস্টারে এতো খারাপ রেজাল্ট করার বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগজনক। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করবো।