রাবির ‘ফেল করা’ শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন ভবন অবরোধ এবং অকৃতকার্য হয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের ছবি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে টানানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তারা। এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয় ৪০। কিন্তু পোষ্য কোটার অধীনে কৃতকার্য না হয়েও অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

রবিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

কর্মসূচিতে রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‌‌‘যেখানে একজন শিক্ষার্থীকে রাত-দিন পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হচ্ছে সেখানে একজন অযোগ্য শিক্ষার্থী শুধু বাবা-মায়ের যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এটা স্বাধীন দেশে মেনে নেওয়া যায় না। 

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি হবে মেধার ভিত্তিতে। প্রশাসন যুক্তি দেখায়, কোটার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্ষতি হচ্ছে না, কিন্তু কোন যুক্তিতে আপনি পোষ্য কোটা রেখেছেন সেটার উত্তর দেন? এই শিক্ষকরা যদি সন্তানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ডুবাতে পারেন, তারা তাদের সন্তানের জন্য দেশের মানও ডুবাতে পারেন। এই শিক্ষকদের ন্যূনতম নৈতিকতাবোধ নেই।

ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন পারিবারিক গোয়ালঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী যেখানে ৮৫ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, সেখানে ১৯ নম্বর পেয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীরাও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। কোনও শিক্ষক-কর্মকর্তার অযোগ্য সন্তানদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা হবে না। আগের ভিসি পুলিশ পাহারায় পালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন পালানোর সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন: ঢাবির স্বর্ণপদকও একসঙ্গে জয় করলেন মাসুদ ও সাকিব

আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। তারা মনে করে এখানে পড়ালেখা করা চাকরি পাওয়া তাদের সন্তানদের মৌলিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান হয়ে জন্ম নিলেই যেন পরবর্তীতে সে শিক্ষক হবে, সে যত অযোগ্যই হোক। 

বর্তমানে দেশ যে ধ্বংসের দারপ্রান্তে এর দায় এই শিক্ষকদের নিতে হবে। যদি তিন দিনের মধ্যে তাদের ভর্তি বাতিল এবং পোষ্য কোটা বাতিল না করা হয় তাহলে প্রশাসন ভবন অবরোধ এবং অকৃতকার্য হয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবকের ছবি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে টানিয়ে দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence