‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ পাঠদান অনলাইনে করা যেতে পারে’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ PM
উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি খসড়া রূপরেখা তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। আগামী বছর থেকে (২০২৩ সাল) দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এই রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউজিসি। এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে রূপরেখাটি শতভাগ বাস্তবায়নে জরুরি, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর সাথে সমন্বয় করে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করা হয়। ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ‘পলিসি অন ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সমন্বয় সভায় আজ রবিবার খসড়া রূপরেখাটি তুলে ধরা হয়।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তফা আজাদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রফেসর ড. কাজী মোহাইমিন আস-সাকিব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তওরিত, কমিশনের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি এসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগর পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। সভায় এটুআই'র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্লেন্ডেড এডুকেশনের খসড়া রূপরেখা কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদানের বিকল্প নেই বলে মত দেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পাঠদান অনলাইনে সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলকে শক্তিশালী করতে হবে বলে তাঁরা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিশ্ববদ্যালয়সমূহ যাতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। নীতিমালায় স্নাতকদের নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হবে।