বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনের অনুমতি দিতে নীতিমালা করছে ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:০৭ PM
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতির জন্য নতুন ও কঠোর নীতিমালা তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বর্তমানে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এই গাইডলাইন তৈরির কাজ করছে।
ইউজিসি জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা’ সংশোধন করে শুধুমাত্র শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি প্রদানের প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। স্টাডি সেন্টার অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকছে না নতুন খসড়ায়।
প্রস্তাবিত নীতিমালায় কিছু শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা, পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ, ৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট এবং আবেদন ফি হিসেবে ১০ লাখ টাকা। এসব শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে মানসম্পন্ন ও স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস অনুমোদনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের উচ্চশিক্ষার মান রক্ষা করা এবং বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা রোধ করা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এই বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গাইডলাইন পলিসি প্রণয়নের কাজ করছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমোদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বা মতামত প্রদান করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনে দেশের কী ধরনের লাভ-ক্ষতি হতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে একটি হাই-পাওয়ার কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রধান বুয়েটের ভিসি, সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাবি, বুয়েট, নর্থ সাউথ ও জাহাঙ্গীরনগরের প্রফেসররা। এই কমিটির ওপর ভিত্তি করে মূল কমিটিও রয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন ইউজিসির একজন সদস্য।
আনোয়ার হোসেন জানান, বিদেশি ক্যাম্পাসের অনুমোদনের বিষয়ে সরকার ইতিবাচক। তবে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য অসুবিধা, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ এবং শিক্ষক সংকটের আশঙ্কাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জীবনমান, বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও গবেষণার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। সবদিক বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা দেশের জন্য লাভজনক কিনা, সেটাও গুরুত্ব পাবে।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার ইউসিএসসি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি শাখা ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন পেয়েছে এবং ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে।