‘পদোন্নতিতে অনিয়ম’ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ PM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ PM
নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে সম্প্রতি ২৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। সংবাদ প্রকাশের ঘটনাকে নেতিবাচক ও ভুল বার্তা প্রদান হিসেবে উল্লেখ করেছে কতৃপক্ষ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ইউসিজির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, পদোন্নতি প্রদানের পর সংবাদ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেয়া হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, স্বৈরাচার সময়ে যারা কর্তৃপক্ষের আশীর্বাদে উচ্চপদে উন্নীত হয়েছিলেন, তাঁরা এই সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে পারেন।
এতে বলা হয়, ‘স্বৈরাচার আমলে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারপন্থী এবং তোষামোদকারী ব্যক্তিদের পদোন্নতি দিয়ে উচ্চপদে উন্নীত করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নিতান্ত অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রকারান্তরে ধ্বংস করা হয়েছে। ইউজিসিতেও দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারপন্থী এবং তোষামোদকারী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়মনীতি বরখেলাপ পদোন্নতি দেওয়াসহ সিন্ডিকেট আকারে নানান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।’
স্বৈরাচারের আমলে প্রতিবাদী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁদের প্রতি ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বরাবরই রক্তচক্ষু প্রদর্শন করেছে। জ্যেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সেইসব কর্মকর্তাদের বারবার পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও তাঁদেরকে অযাচিত ও বিব্রতকরভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, তাঁদেরকে কর্মবিহীন রেখে পারফরম্যান্স প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং কোনো ক্ষেত্রে তাঁদের গুণগত মানসম্পন্ন কাজের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি এবং নিপীড়নমুলক আচরণ করা হয়েছে যা তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করেছেন। এভাবে বঞ্চনা ও নিপীড়নের যে দায়মুক্তি ঘটেছে, তা স্মরণকালে কখনো দেখা যায়নি।’
সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ইউজিসির নতুন কর্তৃপক্ষ নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে স্বৈরাচার সময়ে বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার সেইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রথম পর্যায়ে একাংশকে তাঁদের প্রাপ্য পদোন্নতি প্রদান করেছেন। সেই সাথে বর্তমান কর্তৃপক্ষ সকলকে অফিসে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশের উচ্চশিক্ষাকে গতিশীল করতে অনুপ্রাণিত করছেন।’