হেডফোন ব্যবহারে যেসব বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ AM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ AM
প্রযুক্তির এই যুগে হেডফোন, ইয়ারফোন বা এয়ারপডস আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। গান শোনা, ভিডিও দেখা, অনলাইন ক্লাস কিংবা অফিসের মিটিং সবকিছুতেই হেডফোনের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। তবে দীর্ঘসময় বা অসচেতনভাবে হেডফোন ব্যবহার কানে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। চলুন জেনে নিই হেডফোন ব্যবহারে যেসব সচেতনতা অবলম্বন করবেন:
শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
অনেকে হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনে থাকেন। কিন্তু এতে কানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ৬০-৬০ নিয়ম মানা জরুরি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ শব্দমাত্রার ৬০ শতাংশের বেশি ভলিউম না রাখা উচিত।
দীর্ঘসময় ব্যবহার এড়িয়ে চলা
একটানা সর্বোচ্চ ৬০ মিনিটের বেশি ব্যবহার না করা উচিত। টানা কয়েক ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার কানের ভেতরে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
হেডফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করলে কানে জীবাণু প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই সময়মতো পরিষ্কার করা জরুরি।
শেয়ার না করা
অনেকেই বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করেন, যা জীবাণু ছড়ানোর অন্যতম কারণ। তাই হেডফোন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস হিসেবেই রাখা উচিত। বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার না করার চেষ্টা করবেন।
সঠিক ধরন বেছে নেওয়া
বাজারে অনেক ধরনের হেডফোন রয়েছে। সঠিকটি ব্যবহার না করলে কানে ব্যাথা হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে। কানে ঢোকানো ইয়ারফোনের পরিবর্তে ওভার-ইয়ার বা অন-ইয়ার হেডফোন তুলনামূলক নিরাপদ।
শব্দদূষণ এড়াতে সচেতনতা
গণপরিবহন বা জনসমাগমস্থলে হেডফোন ব্যবহার করার সময় ভলিউম বাড়ানো অনেকেই অভ্যাসে পরিণত করেন। এটি কানের জন্য ক্ষতিকর এবং চারপাশের শব্দ শুনতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি হয়।
কানের ইনফেকশন
ইন-ইয়ার হেডফোন বেশি ব্যবহার করলে কানে ঘাম জমে ফাঙ্গাল বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে।
মাথাব্যথা ও মনোযোগের ঘাটতি
ওভার-দ্য-হেড হেডফোন ভারী হলে অনেকক্ষণ ব্যবহারে মাথা ও ঘাড়ে চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া সবসময় হেডফোন কানে রাখলে বাইরের পরিবেশের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, অতিরিক্ত ভলিউমে হেডফোন ব্যবহার করলে হঠাৎ করেই শ্রবণশক্তি হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এটি ব্যবহারে সচেতন না হলে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।