জাতীয়করণের দাবিতে সমাবেশ

মেট্রোস্টেশনে শুয়ে-বসে সময় পার করছেন শিক্ষকরা

মেট্রোস্টেশনে শুয়ে-বসে সময় পার করছেন শিক্ষকরা
মেট্রোস্টেশনে শুয়ে-বসে সময় পার করছেন শিক্ষকরা  © টিডিসি ফটো

জাতীয়করণের দাবিতে ডাকা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। সমাবেস্থলে জায়গা না পেয়ে মেট্রোস্টেশনের ওটার সিড়িতে বসে এবং প্লাটফর্মে শুয়ে সময় পার করছেন সমাবেশে আসা শিক্ষকরা।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয় মেট্রোস্টেশন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

দিনাজপুর থেকে সমাবেশে আসা আব্দুল হালিম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল রাতে বাসে উঠে ঢাকায় এসেছি। শরীর ক্লান্ত থাকায় স্টেশনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি। সমাবেশস্থলে অনেক লোক হওয়ায় দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে এখানে এসেছি।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেসক্লাব এলাকা ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও রয়েছেন। পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহ এর সামনে ও শিক্ষা ভবন এলাকায়ও অনেকে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতিও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবে আসছেন শিক্ষকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২০ দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়। সে সময় সরকার শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা  ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি  ও পরবর্তী বাজেটে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি। 

শিক্ষা উপদেষ্টার সুস্পস্ট ঘোষণা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থ বছর শুরু হলেও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রজ্ঞাপন এখনও জারি করা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আবারও রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে সমাবেশ থেকে।


সর্বশেষ সংবাদ