অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চলছে: ইউট্যাব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৬ AM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৫ PM
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার বাহিনী কর্তৃক হামলা, গুলি ও মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সোমবার (২৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এঘটনায় গভীর নিন্দা এবং প্রতিবাদও জানানো হয়েছে ইউট্যাবের পক্ষ থেকে।
একইসঙ্গে হামলায় জড়িত আনসার বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং আহত শিক্ষার্থী-সাংবাদিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউট্যাব।
বিবৃতিতে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের গৌরব শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অস্থির সময়ে দেশের হাল ধরেছেন। কেননা গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে আছেন।
আরও পড়ুন: কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না: ইউট্যাব
‘‘যারা গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর নানা জুলুম অত্যাচার করেছে। স্বৈরাচারের পতন হলেও প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসর ও প্রেতাত্মা এখন রয়ে গেছে। তারা সব জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। এসব চক্রান্তকারী ও স্বৈরাচারের দোসরা মনে করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশে প্রতিবিপ্লব ঘটাবে! গতকাল রবিবার রাতে আনসার বাহিনীর কর্মকাণ্ডে তেমনটিই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গোটা দেশের মানুষ যেখানে বন্যার্তদের সহায়তা ব্যস্ত সেখানে আনসার বাহিনী কি করে দেশের প্রধান সরকারি দপ্তর সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখে?’’
ইউট্যাবের নেতারা বলেন, আনসার বাহিনীর কোনো দাবি দাওয়া থাকলে তা আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার দু:সাহস দেখালো কীভাবে? আসলে বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে তাকে অস্থির করার জন্য এসব পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতির দুঃসময়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতির দ্বৈত অবস্থান হতাশাজনক: ইউট্যাব
পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনও রয়ে গেছে জানিয়ে তারা বলেন, যারা ইন্ধন দিয়ে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল ও অরাজকতা তৈরি করতে চায়। কিন্তু আমরা মনে করি ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারের দোসররার তাসের ঘরে মতো উড়ে যাবে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে যারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছে তাদেরকে অবিলম্বে সরিয়ে দক্ষদেরকে পদায়ন করা। তা না হলে গতকালও আনসাররা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বুট দিয়ে লাথি দিয়ে শরীর থেতলে দিয়েছে তা ভালো কিছু নয়। আমরা অবিলম্বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানাচ্ছি—উল্লেখ করা হয়েছে একই বিবৃতিতে।