কুবি ভিসির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

মানববন্ধন
মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে প্রশাসনিক ভবনস্থ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি বঞ্চিত অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভিসি যে-সকল আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, সেগুলো আইনের মধ্যে নিয়ে আসেন। আমরা এ কর্মসূচিতে থাকতে চাই না। আমরা শিক্ষক, ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। শিক্ষক সমিতি থেকে যে সাতটি দাবি দেওয়া হয়েছে এ দাবিগুলোর দু’একটি দাবি ছাড়া বাকী দাবিগুলো পূরণ করার জন্য কোন ধরনের সিন্ডিকেট লাগে না। আপনি চাইলেই শিক্ষক সমিতির সাথে কথা বলে দাবিগুলো সমাধান করতে পারেন। কিন্তু আপনি (ভিসি) এ দাবিগুলো পূরণ করছেন না। আপনি কী চাচ্ছেন শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে না যাক?

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ভিসি তার নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে দুটি ইনক্রিমেন্ট নিয়েছেন। বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগে অনিয়ম করেছেন। জরুরি সিন্ডিকেট সভার অ্যাজেন্ডা বদলে ফেলেন। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শর্ত জুড়ে দেন। একগুঁয়েমি মনোভাব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন। তার অনুগত শিক্ষকদের জন্য সব ক্ষেত্রে শিথিলতা, সাধারণ শিক্ষকদের বেলায় শর্তারোপ করেন। ভিসির দপ্তরে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় তিনি অদক্ষ।

মানববন্ধনে শিক্ষকদের হাতে 'নিয়োগ/পদোন্নতির বিধি বহির্ভূত শর্ত বাতিল করতে হবে; স্বেচ্ছাচারী আচরণ বন্ধ করুন শিক্ষকদের দাবি পূরণ করুন, ভিসি কার্যালয়ে শিক্ষকদের উপর বর্বরোচিত হামলার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করুন; অধ্যাপক গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতিতে টালবাহানা কেন জবাব চাই; মনগড়া শিক্ষক ছুটি নীতিমালা বাতিল করুন, করতে হবে; ভিসির অবৈধ ইনক্রিমেন্টসহ সকল আর্থিক জালিয়াতির বিচার চাই; শিক্ষকদের পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে বৈষম্য কেন? আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিন/বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ কেন? জবাব চাই সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা দেখা যায়। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ এবং ২০ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।


সর্বশেষ সংবাদ