প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২ মিনিট সময়ের জন্য আকুতি আন্দোলনরত শিক্ষকদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩০ PM , আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫৪ PM
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ব্যতীত ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২ মিনিট সময়ের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। আজ শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল ৫টার পর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাউছার আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আমাদের অভিভাবক, আপনি বললে আর কারও কথা লাগবে না।
“আপনি আমাদের ৫ মিনিট সময় দেন যেনো আমরা সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারি। আপনি ৫ মিনিট না পারেন অন্তত ২ মিনিট আমাদের সাথে বসুন। আপনার কাছে আমাদের কোন দাবি নাই। আপনি শুধু বলবেন, আমাদের নির্দেশ দিবেন, আমরা শুনে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো। অন্যথায় আমরা কারও আশ্বাসে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো না।”
তিনি আরও বলেন, সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী গত ১২ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের আশ্বাসও দেয়া হচ্ছে না। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী দুইটি কমিটি করে দিয়েছেন। একটি অর্থনৈতিক অন্যটি গবেষণার জন্য। আমরা ভেবেছিলাম যেহেতু উনি এটা করেছেন সেহেতু প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিবেন। তিনি এর আগেও ৩৪০টি কলেজ জাতীয়করণ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০০৪ সালের আইন অনুযায়ী ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ১০০০ টাকা বাসা ভাড়া পাই। এটাকে সংশোধন করতে বলেছি আমর কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সেটাকে অস্বীকার করে বললেন সামনে নির্বাচন এখন কোন জাতীয়করণ করা বা অন্যান্য ঘোষণা দেয়া যাবে না, কোন পরিবর্তনও আনা যাবে না৷ এর পরে আবার আমাদেরকে মাতৃভাষা ইনস্টিটিটিউটে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হলে আমরা গিয়ে দেখি সেখানে রাজনৈতিক নেতারা আসন দখল করে বসে আছেন, আমাদের বসতেও দেয়া হয়নি ঠিকমতো। এটা আমাদের শিক্ষকসমাজের অপমান স্বরূপ। পরে আমরা বুঝেছিলাম মন্ত্রীর কথায় কিছু হবে না। আমরা মনে করি শুধু প্রধানমন্ত্রীই পারবেন আমাদের বেসিরকারি সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসা।
সমাবেশে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এই জোটের আহবায়ক হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, বাকি সংগঠনের সভাপতিরা যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে থাকবেন। আর জোটের প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাউছার আহমেদ, বাকি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকরা সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকবেন।