এমআইএসটিতে ৩য় সুদীপ্ত প্রকৌশল গুচ্ছে ৮ম, হতে চান প্রকৌশলী
- সিয়াম হাসান
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৪ AM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮ AM
প্রকৌশল গুচ্ছ ২০২৩-২৪ ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৮ম হয়েছেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত পোদ্দার। একইসঙ্গে তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন ৩য়। এছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছিলেন তিনি।
সুদীপ্তের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া থানার মাশুমদিয়াতে। তার বাবা প্রবীর কুমার পোদ্দার। মা মিতু পোদ্দার।তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। সুদীপ্ত ২য় শ্রেণি পর্যন্ত তার গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর ভর্তি হন পাবনা জেলা স্কুলে। সেখান থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। সেখানে থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
শিক্ষাজীবন নিয়ে সুদীপ্ত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্কুলে প্রায় প্রতি শ্রেণিতেই আমার রোল এক নম্বর ছিল। কলেজের টেস্ট পরীক্ষাতেও আমি ১ম হই। এরপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি থেকে আমি ভর্তি পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করি। এজন্য আমি গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়গুলোর প্রতি ভিন্নভাবে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করি। সেখান থেকে আমি আমার প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
তবে সুদীপ্তের লক্ষ্য প্রকৌশলী হলেও বাবা-মা চাইতেন ছেলে ডাক্তার হবে। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা আমাকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন ৷ তবে নিজের ব্যক্তিগত ভালো লাগাকে অনুসরণ করার কারণেই হয়তো আমি ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে বেশ কিছু সাফল্য অৰ্জন করতে পেরেছি।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সাফল্যে সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সুদীপ্ত। নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আমি প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৮ম এবং এমআইএসটি ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৩য় স্থান অধিকার করি ৷ এছাড়াও আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই ৷
নিজের এমন সাফল্য পরিবারের সদস্যদের উৎসর্গ করতে চান তিনি। সাফল্যের এমন মুহূর্তে স্মরণ রেখেছেন নিজের শিক্ষকদেরও। তিনি বলেন, এ সাফল্যে আমার বাবা-মা এবং বড় দুই বোনের অবদান অনেক অনেক বেশি ৷ পারিবারিক বাধ্যবাধকতার কারণে আমার শিক্ষা জীবনের একটা বড় অংশে আমাকে আমার ছোটদিদির সাথে থাকতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার পড়াশোনায় ভালো করার পেছনে ছোটদিদির প্রেরণা হয়তো সবচেয়ে বেশি ৷ এছাড়াও আমার সকল শিক্ষক আমাকে সবসময় সহায়তা করেছেন ও অণুপ্রেরণা দিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার ক্ষেত্রে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভর্তিচ্ছুদের পরামর্শ দিয়ে সুদীপ্ত বলেন, আমার অনুজদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ থাকবে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়কে মাথায় রেখে পড়াশোনা করতে হবে। এক্ষেত্রে মূল বইয়ের উপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ৷ বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রত্যাশীদের প্রতি আমার উপদেশ থাকবে, মূল বইয়ের প্রতিটি বিষয়ের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার রাখতে হবে। অনেক বেশি প্র্যাক্টিস করতে হবে। যা তোমার সময় ম্যানেজমেন্ট ও ইফসিএয়েন্সি বাড়াতে সাহায্য করবে ৷
তিনি বলেন, আমি নিজে কখনো ঘড়ি ধরে পড়িনি। কোনো বিষয়ে যত সময়ই লাগুক, চেষ্টা করেছি সেটা ভালোমতো বুঝে পড়ার, প্রয়োজনে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি ৷ এছাড়াও একটা ভালো বন্ধু পড়াশোনায় অনেকটা সাহায্য করে। যেমন- কোনো গণিত বা কন্সেপ্ট বুঝতে না পারলেই আমি আমার বন্ধুদের সাহায্য নিয়েছি। তারা সবসময় আমাকে সাহায্য ও প্রেরণা দিয়েছে ৷