অনলাইন ক্লাসে বিদেশি শিক্ষার্থী গ্রহণ করবে না যুক্তরাষ্ট্র
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৪:৪৯ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৪:৪৯ PM
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলমান অনলাইন ক্লাসে অধ্যয়নরত নতুন কোনো শিক্ষার্থী গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দেশটির ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ঘোষণায় বলা হয়, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী শুধুমাত্র অনলাইনে পড়ালেখা করতে চাইছেন, নতুন করে তাদেরকে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগে দেশটির অভিবাসী দফতর জানিয়েছে, অনলাইনে ক্লাস হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ভিসা দেওয়া হবে না।
এর ফলে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছেন। অভিবাসী দফতরের নোটিশ মেনে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। মূলত দুই ধরনের ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ননইমিগ্রান্ট এফ-১ এবং এম-১ ভিসা। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা অ্যাকাডেমিক কোর্স করতে যান তাঁদের এফ-১ ভিসা দেওয়া হয়। যাঁরা ভোকেশনাল কোর্স করতে যান, তাঁদের দেওয়া হয় এম-১ ভিসা।
এর আগে বিদেশিদের কাজের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া নিয়ে আইন কঠোর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বার কোপ পড়ল শিক্ষার্থীদের উপর। পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীন এবং ভারতের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই দুই দেশের পড়ুয়াই সবচেয়ে বেশি।
এদিকে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ল্যারি ব্যাকো বলেছিলেন, যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই নির্দেশনা আমাদের জটিল সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ ধরনের নির্বুদ্ধিতার কাজ না করে বিকল্প কোন উপায় বের করা যেত।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্তটি বিশ্বব্যাপী মহামারীর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে এবং পরিস্থিতির ভারসাম্য বজায় রেখে হার্ভার্ডসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার ক্ষতি করবে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই তাদের আগামী বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন কোর্স অনলাইনে করার অনুমতি দিয়েছিল স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি)। কিন্তু এখন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত তাদের বিস্মিত করে ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের হতাশ করে।
পরে অবশ্য অনেক শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন প্রণেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। তার কয়েকদিন পরই এখন নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাল দেশটি।