চবি অবরোধ করে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, বন্ধ বাস ও শাটল ট্রেন

চবির মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা
চবির মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরপরই মূল ফটকে তালা লাগিয়েছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। তাদের দাবি, যোগ্য এবং ত্যাগী নেতাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া পদ বাণিজ্য এবং অছাত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন বিক্ষোভরত নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি কমিটি বর্ধিত করতে হবে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মো. ইলিয়াসকে বহিষ্কার করতে হবে এবং যোগ্যদের স্থান দিতে হবে। 

ক্যাম্পাস অবরোধ থাকায় আজ সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে চলছে না শাটল ট্রেন এবং বাস। তবে চলছে ক্লাস ও পরীক্ষা। রোববার (জুলাই ৩১) মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ৬৯ জন সহসভাপতি, ১২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে। তিন বছর পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে চবি ছাত্রলীগ৷।

আন্দোলনরত নেতা-কর্মীরা দাবি করছে, বিজয় গ্রুপের একটি অংশের ও কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মো. ইলিয়াসকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। তার বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন তারা। 

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি পদ পাওয়া বিজয় গ্রুপের নেতা নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, এখানে অসংখ্য ত্যাগী, পরিশ্রমী যোগ্য ছেলেরা কমিটিতে বাদ পড়ছে। যাদের মূল্যায়নের দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: চবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর বিক্ষোভ, পদ বাণিজ্যের অভিযোগ

সবুজ অভিযোগ করেন, ইলিয়াস টাকার মাধ্যমে এখানে এমনও ছেলেকে নেতা বানিয়েছে, যারা কখনো রাজনীতি করেনি। তাই আমাদের ছেলেরা অবরোধের ডাক দিয়েছে।

বিজয় গ্রুপের আরেক কর্মী মোহম্মদ দেলোয়ার বলেন, চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, অছাত্র, জামায়াত শিবির, বিএনপি ব্যাকগ্রাউন্ডের অনেককে কমিটিতে এনেছে। আমরা যারা ৭ বছর ধরে ত্যাগ করেছি, তিনি আমাদের মূল্যায়ন করেননি। যতক্ষণ পর্যন্ত ইলিয়াসকে বহিষ্কার ও কমিটিকে পুনর্গঠন করা হবে না আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব।

তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ