বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া গভীর ষড়যন্ত্র: ছাত্র মজলিস

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের মানববন্ধন
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের মানববন্ধন  © সংগৃহীত

বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস। সংগঠনটি বলছে, বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া একটি গভীর ষড়যন্ত্র। কেননা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা তৈরি হবে না। তাই সরকারের কাছে ধর্মীয় শিক্ষাকে অত্যাবশ্যক করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

আজ রবিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস আয়োজিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের ষড়যন্ত্র এবং বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামী বিষয় বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজ সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, কারণ নৈতিক শিক্ষার অভাব। আর নৈতিকতা আসে ধর্ম থেকে। ধর্ম শিক্ষা পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। আজ চারিদিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুন, গুম, দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ধর্মীয় নৈতিকতার অভাবে। সন্তানকে আনুগত্যশীল করতে ধর্মীয় শিক্ষা অত্যাবশ্যক। সন্তানকে মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা তৈরি হবে না।

ছাত্র মজলিসের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া একটি গভীর ষড়যন্ত্র। আসন্ন পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে পরবর্তী সময়ে যারা দেশ পরিচালনা করবে তারা আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। সব স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।  

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র মজলিসের সভাপতি আহসান আহমেদ খান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ