চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:২৪ PM
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক ওয়ার্ডবয়ের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় আক্তারুল করিম রুবেল (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে ইনস্টিটিউটের সামনে চাঁদাবাজি করার সময় তাকে আটক করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা ২-৩ জন সহযোগী পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার আক্তারুল করিম রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ও তার দুই সহকর্মী নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে আনন্দবাজার খাবার হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা তাদের পথরোধ করে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে আসামীসহ তার সহযোগী আসামীরা তাকে কাঠ ও রড নিয়ে হাত, পা, মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সজোরে আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি মারতে থাকে৷
এসময় ওয়ার্ডবয় মনিরের সহকর্মীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আসামীরা তাদেরকেও এলোপাতারীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সষ্টিটিউট এর কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে আসামী আকতারুল করিম রুবেলকে (২৪) আটক করতে সক্ষম হলেও অপর আসামীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, এক ওয়ার্ডবয়ের করা চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আক্তারুল করিমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের অনুসন্ধানের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জানা গেছে, আকতারুল করিম রুবেল একজন ছিনতাইকারী ও মাদকবিক্রেতা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা বলেও পরিচিত। নিজেকে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে থাকে। জিয়া হলের আরেক ড্রপআউট ছাত্র ও তার বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ ইমনসহ আরও ৭-৮ জন মিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন ছিনতাই ও মাদক বিক্রি করে থাকে৷ রুবেল বর্তমানে উদ্যানের মাদক বিক্রেতা নেটওয়ার্কের সরদার৷
আরও জানা যায়, উদ্যানের স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে অবস্থিত গ্লাস টাওয়ারের নিচে সাধারণত সে অবস্থান করে থাকে৷ সে উদ্যানে চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রন করে, যারা উদ্যানে ছিনতাইকারী এবং মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে পরিচিত।